যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা’। স্থানীয় সময় ২২ জুলাই শনিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটস-এ জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ভয় নাই-রাজপথ ছাড়ি নাই, বারবার দরকার-শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার-বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের সরকার, জয় বাংলা-জিতবে আবার নৌকা ইত্যাদি স্লোগানে ভরে উঠে।
এ কর্মসূচির প্রেক্ষাপট উপস্থাপনকালে সংগঠনের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, গত ১৫ বছর বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার সরকারের কাছে থেকে যে বেনিফিট পেয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে নৌকায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পঞ্চম বারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বাগত জানাবে। সে তাগিদেই আমরা আজ শান্তির সমাবেশ করছি। ড. সিদ্দিক বলেন, দেশ ও বিদেশে অনেকে অশান্তি তৈরীর ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে, নির্বাচন বানচালের অভিপ্রায়ে নানা কথা বলছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার সৈনিকেরা কখনোই শান্তি নস্যাতের সৃুযোগ দেবে না।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাজী এনাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাসিব মামুন এবং মহিউদ্দিন দেওয়ানের সম্মিলিত পরিচালনায় র্যালিতে বক্তব্য প্রদানকালে সহ-সভাপতি শামসউদ্দিন আজাদ বলেন, পদযাত্রার নামে বিএনপি আগুণ সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়েছে। মুজিব সৈনিকদের চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরী বলেন, আমরা যে শান্তির পতাকাবাহী একটি সংগঠনের কর্মী তা প্রমাণিত হয় ছাত্রলীগের শিক্ষা, শান্তি, প্রগতির স্লোগানেই। আমরা সকলেও এটাও জানি যে, জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তিতে জুলিও কুড়ি পদক পেয়েছিলেন। তাই বাংলাদেশে বারবার শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলেই।
নিজাম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে বারবার শান্তি বিঘ্নিত হয়েছে পেছনের দরজা দিয়ে রক্তের সিঁড়ি বেয়ে ক্ষমতায় আরোহনকারিদের দ্বারা। আজ আমরা বিশ্বের রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্কের এই শান্তি সমাবেশ থেকে আহবান জানাতে চাই, বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ দীর্ঘ সাড়ে ১৪ বছর যাবত শান্তিতে বসবাস করছে। বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হয়েছে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ একটি উন্নত সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। তাই আমরা চাই না বাংলাদেশে নির্বাচনের নামে বিভিন্ন কথা বলে, যারা বাংলাদেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না, তাই আমরা বলতে চাই ১৭ কোটি মানুষ আর অশান্তি দেখতে চায় না। প্রবাসীরাও শান্তি চায়, তারা মাতৃভ’মিতে অশান্তির দাবানল জ্বেলে উঠুক তা দেখতে চায় না।
এ সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন কৃষি সম্পাদক আশরাফুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোজাহিদুল ইসলাম, খোরশেদ খন্দকার, মহিলা নেত্রী মমতাজ শাহনাজ, যুবলীগম নেতা সেবুল মিয়া, আওয়ামী লীগের মাসুদুর রহমান, শাহীন আজমল, কাজী আজিজুল হক খোকন, সুবল দেবনাথ প্রমুখ। সমাবেশে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারাও।